চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কনটেইনার অপসারণে সেপ্টেম্বর মাসেই তিনটি পৃথক নিলামের ডাক দিয়েছে কাস্টম হাউজ। এর মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর ৫৮ লট, ২৮ সেপ্টেম্বর ৪১ লট এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ১০১ লট পণ্য নিলামের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. শফি উদ্দিন আজ  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, এর আগেও একাধিক নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র (এসি), কংক্রিট, সিমেন্ট ও কংক্রিট মিক্সচার লরিসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার উপকরণ ও পোশাক নিলামে তোলা হচ্ছে।

নিয়মিত নিলাম আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘কাস্টমসের এ উদ্যোগ ব্যবসা বান্ধব। কারণ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা কনটেইনার শুধু স্থান দখল করছিল, ফলে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা ভোগান্তিতে পড়তেন। নিয়মিত নিলামের মাধ্যমে এই সংকট অনেকটা লাঘব হবে। এ ধরনের নিলাম আরও দ্রুত ও নিয়মিত করা হলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে সহায়ক হবে।’

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. শফি উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা এসব কনটেইনার অপসারণ বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। নিলামের মাধ্যমে এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা গেলে বন্দরের জট কমবে এবং স্বাভাবিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় গতি আসবে।’

তিনি জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্য দ্রুত নিলাম, ধ্বংসের লক্ষ্যে একটি ‘নিলাম কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। নিলামের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কনটেইনার অপসারণের কাজ চলছে। নিলামের মাধ্যমে শুধু স্থান খালি হবে না, সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts