ওসি-ইউএনও-এসিল্যান্ডসহ শতাধিক কর্মকর্তা ভিতরে আটকা
হাছনাইন বিন আলমগীর, বিশেষ প্রতিনিধি
ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, আবাসিক গ্যাস সংযোগ, মেডিকেল কলেজসহ পাঁচ দফা দাবিতে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২২৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মঙ্গলবার সকাল থেকে হাজারও মানুষের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লংমার্চ করে বোরহানউদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে সমবেত হওয়া জনতা দুপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও শুরু করেন।
প্রবেশমুখে পৌঁছে তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়লে প্লান্টের সামনেই অবস্থান নেন। পরে একে একে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবকটি প্রবেশপথ ঘিরে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা।

শতাধিক কর্মকর্তা ভেতরে আটকে প্রতীকী তালা
ঘেরাও চলাকালে ভিতরে অবস্থান করছিলেন বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ছিদ্দিকুর রহমান, ইউএনও-র দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) রনজিত কুমার দাস, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা।
আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটকে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে ঘোষণা দেন—
“দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ বের হতে পারবে না।”
স্লোগানে মুখর বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা
প্রতিবাদে মুখর জনতা দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন—
“দাবি মোদের একটাই—ঘরে ঘরে গ্যাস চাই”
“দাবি মোদের একটাই—ভোলা-বরিশাল সেতু চাই”
“সেতু দে, মেডিকেল কলেজ দে, বিশ্ববিদ্যালয় দে”
“দাবি না মানলে গ্যাস যাবে না জাতীয় গ্রিডে”
এক ঘণ্টার আলটিমেটাম
দুপুর ৩টায় আন্দোলনকারীরা কর্তৃপক্ষকে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। তারা ঘোষণা করেন—
“স্পষ্ট ঘোষণা না এলে এখানেই অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি চলবে।”
পাঁচ বছর আগে গ্যাস লাইন—সংযোগ এখনো নেই
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন—
- পাঁচ বছর আগে বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকা ও জেলা শহরে গ্যাস লাইন স্থাপন করা হলেও আজও সংযোগ দেননি কর্তৃপক্ষ।
- ভোলা-বরিশাল সেতুর প্রকল্প অনুমোদন মিললেও এখনো ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু হয়নি।
- উপদেষ্টাদের বক্তব্য—“আবাসিক গ্যাস সংযোগ আর দেওয়া হবে না”—জনমনে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ
‘আমরা ভোলাবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
সন্ধ্যা ৭টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্ষুব্ধ জনতার ঘেরাও অবস্থায় ছিল।



