ওএমআর কেনার পরও ম্যানুয়ালি ফল গণনায় প্রতিবাদ জানান ফজিলাতুন্নেছা হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সুলতানা আক্তার। ‘এই পদ্ধতিতে তিন দিনেও ভোট গণনা সম্ভব নয় বলেন তিনি।
অধ্যাপক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘জাকসু নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনার কারণেই আমাদের এক সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আমাদের আরও এক সহকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেন এই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা হলো এটা আমার প্রশ্ন। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনার কারণেই আমাদের সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি বলেন জাকসুর মতবিনিময় সভায় জানানো হয়েছিল, ভোট মেশিনে কাস্ট হবে এবং দ্রুত গণনা করা সম্ভব হবে। কিন্তু গতকাল হঠাৎ আমাদের জানানো হলো, ভোট গণনা ম্যানুয়ালি করা হবে। মেশিনে হলে রাত ১০টার মধ্যেই ফলাফল জানা যেত, সহকর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে আনতে হতো না। তাঁর অকাল মৃত্যু আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে।’
ভোট গণনায় দীর্ঘ সময়ের কারণ হিসেবে প্রক্টর জাকির আহমেদ জানান, ওএমআর দিয়ে গণনা বাতিল করায় ম্যানুয়ালি কাজ চলছে। নির্ভুল ফলাফলের জন্য সময় বেশি লাগছে।
এদিকে, ফলাফল ঘিরে সিনেট ভবনসহ ক্যাম্পাসে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক হাজার সদস্য।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৪৩। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী। নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করেছে ছাত্রদলসহ ৫ প্যানেল ও ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থী।



