রোম, ১৭ সেপ্টেম্বর: ইতালির পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগে মঙ্গলবার একদল প্রো-ফিলিস্তিন শিক্ষার্থী লেকচারে হামলা চালিয়ে ক্লাস বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় অধ্যাপক রিনো কাসেলা আহত হয়েছেন।
অধ্যাপককে মারধর, মামলা দায়ের
আন্তর্জাতিক তুলনামূলক আইন বিষয়ে লেকচার দিচ্ছিলেন অধ্যাপক কাসেলা। শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম দখল করার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এতে ধস্তাধস্তির সময় তার শরীরে আঘাত লাগে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
‘স্টুডেন্তি পের লা ফিলিস্তিনা’ নামের আন্দোলনকারী গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাসেলাকে “সায়নিস্ট অধ্যাপক” বলে অভিযুক্ত করেছিল।
সরকারের কঠোর প্রতিক্রিয়া
ইতালির উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আনা মারিয়া বারনিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি কাসেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর রিকার্দো জুক্কি এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান মারিয়া লুইসা দ’আলেসান্দ্রোর সঙ্গে কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বারনিনি বলেন—
“বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ‘নো-ফ্লাই জোন’ নয় যেখানে ইচ্ছেমতো লেকচার বন্ধ করা বা অধ্যাপকের ওপর হামলা চালানো যায়। পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা গণতন্ত্রকে মান্য করে এমন একটি সমাজের জন্য একেবারেই অসহনীয় এবং ইতালির উন্মুক্ত, স্বাধীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাঙ্গনের জন্য অগ্রহণযোগ্য।”
পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতালির শিক্ষাঙ্গনজুড়ে এখন আলোচনা চলছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সহিংস আন্দোলনের সীমারেখা কোথায় টানা উচিত।



