নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা
“আমার ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। বড় আশা নিয়ে সন্তানকে ঢাকা পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু আজ সে ফিরেছে নিথর লাশ হয়ে। আমার ছেলে এখন দেয়ালের পোস্টার। সিসিটিভি ফুটেজ থাকতেও কেন খুনিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে?” —এভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে বিচার দাবি করছিলেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের নিহত শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার বাবা আলী হোসেন।
নিহত সাকিবুল হাসান রানা তেজগাঁও কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একদল যুবক রানার রুমে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে রানা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তার পিছু নেয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার রক্তাক্ত দেহ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসতে দেখা যায় ফুটেজে।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহরিয়ার সরকার রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, হামলায় আরও অনেকে জড়িত থাকলেও তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
নিহত রানার বাবা আলী হোসেন বলেন, “আমার ছেলে হারানোর ব্যথা আমি জানি। পুলিশের কাছে ছবি আছে, প্রমাণ আছে—তাও কেন তদন্ত থমকে আছে? আমার একটাই দাবি, আমার ছেলের হত্যার সঠিক বিচার এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
রানার মৃত্যুতে তেজগাঁও কলেজ ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা এই বর্বরোচিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন।



