দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রাম আইতা আল-শাব আবারও ইসরায়েলি হামলার মুখে পড়েছে। লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (NNA) জানিয়েছে, ইসরায়েলের একটি ড্রোন গ্রামটির উপর স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। যদিও এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি, তবুও স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ
গত বছর নভেম্বর মাসে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু সেই চুক্তি কার্যত মানা হচ্ছে না। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোন ও বিমান হামলা চালাচ্ছে। এতে গ্রামাঞ্চলের মানুষ অস্থির ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
কেন স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করছে ইসরায়েল?
স্টান গ্রেনেড মূলত ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটে না, কিন্তু প্রচণ্ড শব্দ ও আলোতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, ইসরায়েলের উদ্দেশ্য হলো সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত মানুষকে ভয় দেখানো এবং যারা যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের পুনরায় গ্রামে ফিরে আসা নিরুৎসাহিত করা।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“প্রতিদিন আকাশে ড্রোনের শব্দ শোনা যায়। কখন যে বোমা বা গ্রেনেড ফেলে দেয়, সেই ভয়ে আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও মানবাধিকার উদ্বেগ
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। বেসামরিক জনগণকে ভয় দেখানো এবং তাদের ঘরে ফেরা ঠেকানো কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরায়েলের এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
দক্ষিণ লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতি
বর্তমানে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে ভীতি ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। মানুষজন দিনরাত উদ্বেগে কাটাচ্ছেন। স্থানীয়দের মতে, আন্তর্জাতিক মহল কার্যকর উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।



