দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ বাহিনী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের প্রথম দুই দিনে সারা দেশে ১ হাজার ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গত শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে রোববার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তলসহ ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রামদা, তলোয়ার, চাকু এবং রিচার্জেবল স্টানগান।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০৭ জন বিভিন্ন মামলার আসামি এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি–মিডিয়া) জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা সহিংসতা সৃষ্টি বা নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশজুড়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি দমনের লক্ষ্যে এই অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ছাত্র–জনতার ওপর হামলার ঘটনার পর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপের অভিযান চলছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই অভিযান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।



